সরাইল প্রতিনিধি//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী জয়নব বেগমের (১৬) হত্যার রহস্য উন্মােচন করেছে সরাইল থানা পুলিশ। জয়নব হত্যার ঘটনায় প্রতিবেশী সামছু মিয়ার ছেলে রিফাত মিয়া নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন পুলিশ।
পরে রিফাত মিয়ার চাচা কানাই মিয়াকে (৫৫) উপজেলার বড়ই বাড়ি থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় গ্রেফতার করে সরাইল থানা পুলিশ। পরে কানাই মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বৃহস্পতিবার সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হােসেন টিটাের কাছে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় কানাই। আর এর মধ্যেই বেড়িয়ে আসে হত্যাকান্ডের আসল রহস্য। স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দিতে কানাই হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, একাই স্কুল ছাত্রী জয়নবকে চকলেট দিয়ে আটক করে গ্যারেজের ভিতর হাত মুখ বেধে শিশুটিকে ধর্ষণ করে গলা টিপে হত্যা করে রাত ১১টায় বাড়ির দক্ষিনে একশত মিটার দূরে ইছা মিয়ার বাঁশ ঝাড়ে ফেলে দিয়ে আসে। পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানা যায়, বাড়িতে কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন হাফিজ মিয়া। গত সােমবার রাত ৮টার দিকে পাশের বাড়িতে নলকূপ মেরামতের একটি যন্ত্র (রেঞ্জ) দিতে যায়। পরে রাতে আর বাড়ি ফিরেনি ওই শিশুটি। রাত থেকে আশপাশের বাড়ি ঘর ও স্বজনদের বাড়িতে খুঁজে ছাত্রীর সন্ধান মিলেনি। ছাত্রীর সন্ধান পেতে পরিবারের লােকজন গােটা এলাকায় মাইকিং করেন। এরপরও ছাত্রীটির কােন সন্ধান মিলছিল না। পরদিন বিকেলে ইছা মিয়ার বাড়ীর এক মেয়ে নির্জন স্থানের বাঁশঝাঁড়ে গিয়ে দেখেন শিশুটির লাশ পড়ে আছে। লাশের উপর দিয়ে পােকা মাকড় হাঁটছে। পড়নে জামা রয়েছে। কিন্তু সেলুয়ারটি না থাকায় বিবস্র। পরে লােকজন কালো রংয়ের একটি কাপড় দিয়ে শিশুর শরীর ঢেকে দেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাে. মকবুল হােসেন ও সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হােসেন টিটাে সঙ্গীয় ফাের্স নিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। লাশের সূরতহাল রিপাের্ট প্রস্তুতকারী উপ-পরিদর্শক মাে. শহিদ মিয়া বলেন, উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধারকৃত শিশুর লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। স্কুল ছাত্রী জয়নব বেগমের হত্যার, ৭২ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই রহস্য উন্মােচন করছে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হােসেন টিটাে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদাত হােসেন টিটাে সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃত কুট্রাপাড়ার মৃত: নিবু মিয়ার ছল কানাই মিয়া স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে দায় স্বীকার করে ধর্ষণ করে হত্যার কথা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply